হোয়াটসঅ্যাপে চালু হয়েছে ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ ফিচার। এই নতুন অপশনটি চ্যাট লিস্টে থাকা যেকোনো ব্যক্তির প্রোফাইল খুললেই দেখতে পাওয়া যাবে এবং এটি এনাবেল বা অন করা থাকলে মেসেজ আদান প্রদান করার সাত দিন পর সেগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। এতে একদিকে যেমন স্টোরেজ খালি থাকবে তেমনি ইউজারকে আলাদা করে মেসেজ ডিলিট করতে হবেনা। কিন্তু এর এই ফিচারটি মজাদার হলেও এটি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজগুলি যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি!
WhatsApp গ্রুপে বা চ্যাটে প্রচুর মেসেজ আসে, যার মধ্যে একাংশই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু কিছু চ্যাটে এই ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ ফিচারটি ব্যবহার না করাই ভাল। যেমন, কাজের জায়গার জন্য বানানো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। আমাদের মধ্যে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সহকর্মীদের সাথে সমন্বয় রাখার চেষ্টা করি। এই গ্রুপগুলিতে আড্ডা বা সময় কাটানোর পাশাপাশি বহু কাজের কথাও আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজগুলিকে স্টার মার্ক (Starred) করে না রাখেন তাহলেডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ অপশনের প্রভাবে সেগুলি আপনার নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই পরে বিব্রত হওয়ার চেয়ে এই সমস্ত গ্রুপের জন্য এই অপশনটি অফ রাখাই শ্রেয়।
অন্যদিকে, ব্যবসায়িক গ্রুপ বা টাকা-পয়সার লেনদেনের কথা আলোচনা হয় এমন চ্যাটের জন্যও এই অপশনটি অন না রাখাই ভাল। কারণ এই সমস্ত লেনদেনের কথোপকথনগুলি হাতে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে ‘ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ’ অপশন অন রেখে বারবার চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে গ্যালারির স্টোরেজ নষ্ট করা খুব একটা লাভজনক হবেনা।
শুধু কাজের গ্রুপ বা ব্যবসায়িক আলোচনার ক্ষেত্রেই নয়, পারিবারিক বা আত্মীয় স্বজনদের চ্যাটে এই বিশেষ ফিচারটি প্রয়োগ করার সময় খেয়াল রাখা উচিত। কারণ অনেক সময় পরিচিতদের সাথে চলতে থাকা চ্যাটিংয়ের আড্ডার পরিণতি হয় বাক-বিতন্ডায়! সেক্ষেত্রে মেসেজগুলি ডিলিট হয়ে গেলে ইউজাররা একটু হলেও অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। তাই আমরা পরামর্শ দেব ঝামেলামুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন চ্যাটগুলির জন্যই কেবল এটি অপশনটি ব্যবহার করুন।
কোন মন্তব্য নেই: